খাদ্যের উৎস
① কৃষিজাত দ্রব্য: মানুষের প্রধান খাদ্যসমূহ, যেমন-দানাশস্য (ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি), ডাল-জাতীয় শস্য (মুগ, মটর, মশুর ইত্যাদি) ও পশুখাদ্যের জোগান কৃষিজাত দ্রব্য থেকেই হয়। এই সকল কৃষিজাত দ্রব্যের বৈজ্ঞানিক উপায়ে উন্নত উৎপাদনই হল কৃষিকাজ বা এগ্রিকালচার।
② উদ্যানজাত দ্রব্য: খাদ্যযোগ্য ফল, সবজি প্রভৃতি হল উদ্যানজাত দ্রব্যের উদাহরণ। উদ্যানবিদ্যা বা হর্টিকালচার নামক কৃষিকাজের শাখায় এদের উন্নত উৎপাদন সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয়।
③ পশু-খামারজাত দ্রব্য: দুধ (গোরু, মহিষ, ছাগল), ডিম (হাঁস, মুরগি),
মাংস (ছাগল, মুরগি) প্রভৃতি পশু খামারজাত দ্রব্য খাদ্যের চাহিদাপূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পশুপালনবিদ্যায় এই ধরনের খাদ্যের বিজ্ঞানসম্মত উৎপাদন ও আহরণ সম্বন্ধে আলোচিত হয়।
④ মৎস্য-জাতীয় দ্রব্য: খাদ্যরূপে গ্রহণযোগ্য রুই, কাতলা, ভেটকি ইত্যাদি মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি জলজ প্রাণী খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মৎস্যবিজ্ঞান বা পিসিকালচার-এ এই খাদ্যগুলির উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়।
⑤ খাদ্যের বিকল্প উৎস: প্রচলিত খাদ্য ছাড়া বিকল্প যেসব জীবজ উপাদান
স্বল্পমূল্যে পুষ্টির জোগান দেয় ও খাদ্য সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে, তাদের খাদ্যের বিকল্প উৎস বলে। উদাহরণ-ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি এককোশী অণুজীবের প্রোটিন-সমৃদ্ধ কোশীয় উপাদান (single cell protein)।
0 Comments