পোস্টগুলি

মাধ্যমিক ভূগোল - 5 নম্বরি প্রশ্ন লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতে নগরায়ণের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের চাহিদা, শিল্পবিপ্লব ইত্যাদি হল নগরায়ণের প্রধান কারণ। ভারতে নগরায়ণের বৈশিষ্ট্যগুলি হল :  [১] ভারতের নগরায়ণের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। আনুমানিক ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকে ভারতে নগর গড়ে উঠেছিল। [২ ]ভারতে নগর ও শহরে জাতিধর্মনির্বিশেষে বহু মানুষ একত্রে বাস করে। [৩] ভারতের নগরায়ণ বেশ কিছু ঘটনার সাথে যুক্ত। যেমন : মহামারী, দুর্ভিক্ষ, মন্দা ইত্যাদি। [৪] ভারতের কোনো কোনো স্থানের নগরজীবন অত্যন্ত নিম্নমানের। গ্রাম থেকে শহরে এসে তারা অত্যন্ত নোংরা ঘিঞ্জি বস্তি নির্মাণ করে বসবাস করে। [৫] ভারতের বিভিন্ন শহরে পৌর বিক্ষেপণ (Urban sprawal) হতে হতে আয়তন বেড়েই চলেছে। [৬] ভারতের পৌরায়ণের ফলে ধীরে ধীরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন: দূষণের সমস্যা, বসতি সমস্যা, পরিবহণ সমস্যা, নিকাশি সমস্যা ইত্যাদি। [৭] নানান সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ফলে ভারতে নগরগুলির নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়ছে। [৮] ভারতের অধিকাংশ নগরগুলিতে জনসংখ্যার চাপ অত্যন্ত বেশি ও জমির পরিমাণ অত্যন্ত কম। এই কারণে বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি ও বস্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। [৯] ভারতে গ্রাম থেকে অনেক মানুষ কর্মস

ভারতে নগরায়ণের সমস্যাগুলি সম্পর্কে লেখো।

নগরায়ণের সমস্যা (Problems of Urbanisation) : ১ অপরিকল্পিত নগরায়ণ (Unplanned Urbanisation) : আমাদের দেশে অধিকাংশ শহর, নগর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এর ফলে রাস্তাঘাটে যানজট, আবর্জনার সঠিক জায়গা না-থাকায় রাস্তা ঘাট নোংরা হওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থা প্রায় থাকে না বললেই চলে, স্বল্প বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জল দাঁড়িয়ে যায়, এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রচনা করে ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দরাবাদে স্থানাভাব গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ২ মানুষজনের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা (People's tendency to settle in cities): মূলত উন্নত কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-স্বাচ্ছন্দ্যের তাগিদে বহু মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহর অভিমুখী হয় ফলে অভ্যন্তরীণ পরিব্রাজন ঘটে। এ ছাড়া বাইরে থেকেও (বিদেশ) বহু মানুষ এই সমস্ত শহরে ভিড় করায় জনগণের চাপ শহরগুলিতে বাড়ে ফলে দূষণ সমস্যা, অতিজনাকীর্ণতা লক্ষ করা যায়। ৩ পরিকাঠামোর অভাব (Lack of Infrastructure): বিভিন্ন পরিকাঠামোগত অভাবগুলি হল : • বসতি (Settlement) : নগরায়ণের ফলে যে পরিব্রাজনের সৃষ্টি হয় তার ফলে বসতবাড়ির সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বল্প উপার্জন ও জমির অভাব, গৃহনির্মাণের সামর্থ

পরিবহণের গুরুত্ব লেখো I

যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের পন্থাকে পরিবহণ বলে। অর্থাৎ, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো হয়, তাকেই পরিবহণ বলে। • পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Transport): যে- কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক বিশ্বে পরিবহণের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল- (১) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য : দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্যদ্রব্যের আমদানি, রপ্তানি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহণ ব্যবস্থা অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে। (২) কৃষির উন্নতি: কৃষি পণ্যের আদানপ্রদান, কৃষিজ কাঁচামাল কারখানায় পৌঁছোনো, কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি এবং কৃষিহীন অঞ্চলে কৃষির প্রসারে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। (৩) শিল্পস্থাপন ও সম্প্রসারণ: কোনো স্থানে শিল্পস্থাপনের জন্য কাঁচামালের আনয়ন এবং শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।  (৪) প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও বণ্টন : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও তার সুষ্ঠু বণ্ট

স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব লেখো।

স্থলপথের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবহণ মাধ্যম হল রেলপথ। দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে রেলপথের স্থান সর্বাগ্রে স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল। রেলপথের গুরুত্ব (Importance of Railways) : (১) সময় ও গতিবেগ : স্থলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে রেল হল সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী। এটি স্বল্প সময় সাপেক্ষ পরিবহণ মাধ্যম। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী চলে বলে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।  (২) পরিবহণ ব্যয় : সড়ক ও বিমানপথ অপেক্ষা রেলপথে পরিবহণ ব্যয় স্বল্প। (৩) পণ্যের প্রকৃতি : রেলপথে ভারী পণ্য প্রেরণ করা সুবিধাজনক। পণ্য বোঝাই ও গুদামজাত করণের ব্যবস্থা রেল কর্তৃপক্ষের আছে। পচনশীল দ্রব্য, ভারী শিল্প কাঁচামাল, কৃষিজাত পণ্য, শৌখিন দ্রব্য রেলের মাধ্যমে প্রেরিত হয়। (৪) কর্মসংস্থান : রেলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় বহুলোক নিযুক্ত হয়। রেলপরিবহণ ব্যবস্থা বিশাল কর্মসংস্থান ঘটায়।  (৫) ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা : রেল পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরিত দ্রব্য নষ্ট হয়ে গেলে, রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। (৬) রেলগুদামে পণ্য মজুতের সুবিধা : পণ্য বোঝাই ও খালাসের আগে রে

ভারতের সড়কপথের প্রকারভেদগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

সড়কপথের শ্রেণীবিভাগ (Classification of Roadways) : ভারতে সড়কপথকে প্রধানত ৬টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-(১) সোনালি চতুর্ভুজ (২) জাতীয় সড়কপথ, (৩) রাজ্য সড়কপথ, (৪) জেলা সড়কপথ, (৫) গ্রাম্য সড়কপথ, (৬) সীমান্তবর্তী সড়কপথ। (১) সোনালি চতুর্ভুজ (Golden Quadrilateral) : ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি National Highways Authoritys of India (NHAI) এই সড়কপথ নির্মাণে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর প্রথম পর্যায়ে, সোনালি চতুর্ভুজ কর্মসূচি অনুযায়ী ভারতের চারটি বড় মেট্রোপলিটান শহর-কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই সড়কপথ দ্বারা যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ৫,৮৪৬ কিলোমিটার। দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব ১৪১৯ কিমি, মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব ১২৯০ কিমি, চেন্নাই থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮৪ কিমি, কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১৪৫৩ কিমি।  (২) জাতীয় সড়কপথ (National Highway) : যে সড়কপথগুলির নির্মাণ কাজ ও সংরক্ষণ CPWD (Central Public Works Department) করে, সেই পথগুলিকেই জাতীয় সড়কপথ বা রাজপথ বলে। জাতীয় সড়কপথ যদিও মোট সড়কপথের মাত্র ২ শতাংশ অধিকার করে আছে, তবুও এটি মোট পরিবহণের প্রায় ৪৫% পণ্য ও যাত্

ভারতের জলপথ পরিবহণ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

জলপথ পরিবহণ : নদী-নালা, খাল-বিল, হ্রদ ও সমুদ্রে যে পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাকে জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা বলে। জলপথে যেসকল যানবাহন চলাচল করে, তাদের মধ্যে নৌকা, স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ উল্লেখযোগ্য। জলপথকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (১) অভ্যন্তরীণ জলপথ ও (২) সমুদ্রপথ। (১) ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ (Inland Waterway) : দেশের অভ্যন্তরভাগে জলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪,১৫০ কিমি। উত্তর ভারতে গঙ্গা, উত্তর-পূর্ব ভারতে ব্রহ্মপুত্র এবং দক্ষিণ ভারতে গোদাবরী, মহানদী, কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা, তাপ্তি, পেন্নার এদের অধিকাংশ উপনদীগুলি পণ্য পরিবহণের উপযোগী। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে গঙ্গার জলধারা বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, প্রধানত কৃষিজাত পণ্য চলাচলের জন্যই এই সুনাব্য নদীপথ ব্যবহার করা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত আসাম অঞ্চলের চা, কাঠ, বেত এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্রহ্মপুত্রের অবদান যথেষ্ট। এই নদীপথে ডিব্ৰুগড় পর্যন্ত মাল পরিবহণের সুযোগ আছে। এছাড়া নদী-বদ্বীপ অঞ্চলে জালিকার ন্যায় বিস্তৃত শাখানদীগুলি বরাবর পণ্য চলাচলের ইতিহাস অতি প্রাচীন। তবে নদীতে পলি সঞ্চয়ের প্রকোপে এই নদীপথগুলির না

জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব লেখো।

জলপথের গুরুত্ব (Importance of Waterways) : (১) পরিবহণ ব্যয়: জলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ভাড়া সড়কপথ বা রেলপথের চেয়ে কম। তাই পরিবহণ ব্যয়ও কম। (২) নির্মাণ খরচ : জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ থাকলেও জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো খরচ নেই। (৩) পণ্য পরিবহণ: জলপথে ভারী, শৌখিন, ভঙ্গুর বা বৃহদায়তন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয়। (৪) কর্মসংস্থান: কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব যথেষ্ট। (৫) যানজট: সমুদ্রপথে যানজটের কোনো সমস্যা নেই তবে ভাসমান হিমশৈল বা সমুদ্র তলদেশের আকৃতি (গায়ট) বা নানান ভূপ্রকৃতি অনেক সময় জাহাজ চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। (৬) বাণিজ্য : বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী স্বল্প ব্যয়ে বহু দূরদেশে প্রেরণ করা যায়। (৭) জ্বালানি ব্যয় : জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত যানগুলির জ্বালানি ব্যয় খুবই কম। (৮) পরিবহণ ক্ষমতা: জলপথে ব্যবহৃত যানগুলির পরিবহণ ক্ষমতা সড়কপথে ব্যবহৃত যানের পরিবহণ ক্ষমতা অপেক্ষা অধিক। (৯) পরিবেশদূষণ : জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় দূষণ ঘটার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই যদি না নিষ্কাশিত হয়ে তেল বাহী জাহাজ থেকে তেল সমুদ্রজলে মেশে।

ভারতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো।

ভারতে সর্বপ্রথম বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা বিশেষ উন্নত ছিল না। পরবর্তীকালে এর প্রসারলাভ ঘটে। আকাশপথ পরিবহণের গুরুত্ব বিচার করে ভারত সরকার আকাশ পথ পরিবহণ ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন। ভারতে মোট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সংখ্যা ১১টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরের সংখ্যা ১১২টি। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলি হল- (১) কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর। (২) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর। (৩) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর। (৪) চেন্নাইয়ের আন্না বিমানবন্দর। (৫) বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দর। (৬) অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ বিমানবন্দর।  আকাশপথে পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Airways) : (১) গতিবেগ: এটি অতি দ্রুত গতিসম্পন্ন। বিমান পথে অতি দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করা হয়। (২) ব্যয়: বিমানবন্দর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ তথা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হলেও আকাশপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যয় নেই। (৩) উপযোগিতা: দুর্গম স্থানে যাতায়াতের জন্যে বিমানপথ বিশেষ উপযোগী বিমানের সাহায্যে পাহাড়, পর্বত, নদী-নালা,

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে যা জান লেখো।

এক কথায় যোগাযোগ বলতে বোঝায় মানুষের কথাবার্তার পারস্পরিক আদান-প্রদান। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবামূলক কাজ, ইংরেজি শব্দ 'Communication'-এর উৎপত্তি হয় লাতিন শব্দ 'Communicare' যার অর্থ অংশীদার হওয়া বা করা। এবং এই ধরনের একটি সংগঠিত আদানপ্রদান-এর ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হল তিনটি: ইনটারনেট, ই-মেল ও সেল ফোন। কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা : কম্পিউটার হল এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতিসাধন হয়েছে। ইলেকট্রনিক মেল বা ই-মেল (Email) এবং ইনটারনেট ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে। • ইনটারনেট ও ই-মেল : সারাবিশ্বে কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সঙ্গে একসূত্রে যুক্ত করার নামই ইনটারনেট বা অন্তর্জাল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে Computer Network সৃষ্টি হয়, তারই সমন্বয়কে ইনটারনেট ওয়ার্ক বলে। ইনটারনেটে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় মোডেমযুক্ত কম্পিউটার, উইন্ডোজ সফটওয়ার এবং ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন। ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে ক