পোস্টগুলি

ইতিহাস 8 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাংলাদেশ কীভাবে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?

শক্তিশালী মুঘল সম্রাটদের শেষ প্রতিনিধি ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য অবক্ষয়ের পথে চলে যায়। দুর্বল উত্তরাধিকারীদের আমলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন সুবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়। বাংলাদেশ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে নবাবি শাসন প্রতিষ্ঠা : * বাংলা সুবার উত্থান:  বাবরের সময়ে বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন নুসরত শাহ। তিমি মুঘলবিরোধী জোটে যোগ দেন। ঘর্ঘরার যুদ্ধে (১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে) তিনি পরাজিত হলেও বাংলা স্বাধীন থাকে। পরে সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গিরের আমলে কররানি বংশের ও বারো-ভুঁইয়াদের পতন ঘটলে বাংলাদেশ মুঘল সাম্রাজ্যের একটি সুবা বা প্রদেশে পরিণত হয়। * মুর্শিদকুলি খান- দেওয়ান:  সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যে থাকার সময় মুর্শিদকুলি খান বেরারের দেওয়ান ছিলেন। তিনি তার দক্ষতার জন্য সম্রাটের সুনজরে পড়েন। সম্রাট তাকে বাংলার দেওয়ান পদে নিয়োগ করেন (১৭০০ খ্রিস্টাব্দে)। তিনি বাংলার রাজস্ব সংস্কারের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করে সম্রাটের বিশ্বাস অর্জন করেন। তিনি সম্রাটকে নিয়মিত বার্ষিক পেশকাশ দান করতেন। এজন্য সম্রাট তাকে দেওয়ানি আদায়ের কাজে স্বাধীনতা দেন। * মুর্শিদকুলি খান- সুবাদা

হায়দরাবাদ কীভাবে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?

ছবি
 সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল দরবারের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র প্রবল হয়ে ওঠে। তুরানি গোষ্ঠীর নেতা চিন কিলিচ খান (মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি) মহম্মদ শাহ-কে সম্রাট হতে সাহায্য করেন। কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে বিরক্ত হয়ে তিনি হায়দরাবাদ চলে যান। সেখানে তিনি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে থাকেন। হায়দরাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা : *মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি: মুঘল দরবারে অভিজাত গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ছিল তুরানি বা চিন গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি। সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাকে চিন কিলিচ খান, সম্রাট ফাররুখশিয়র তাকে নিজাম-উল-মূলক এবং সম্রাট মহম্মদ শাহ তাকে আসফ ঝা উপাধি দেন। তার কর্মদক্ষতা ও প্রভাবের জন্য তিনি এই উপাধিগুলি লাভ করেছিলেন। হায়দরাবাদ কীভাবে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে? * দিল্লির রাজনৈতিক অবস্থা :  নিজাম-উল-মূলক ফাররুখশিয়রের মৃত্যুর পর (১৭১৯ খ্রি.) সিংহাসন নিয়ে প্রবল দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ষড়যন্ত্র, হত্যাকান্ড ও সন্দেহ এক বিষাক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। * হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা:  এই অবস্থায় মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি দিল্লি ত্যাগ করে হায়দরাবাদ চলে যান। এখানে