পোস্টগুলি

কাকে বলে লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কী কী?

পদ কাকে বলে? "পদ" শব্দটি বাংলায় কোনো স্বতন্ত্র অর্থ ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। বাক্যের মৌলিক অংশ যা ব্যক্তি, জিনিস, বা ঘটনার সম্পর্কে কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় তা হলো পদ। পদের উদাহরণ দাও ? পদের উদাহরণ দেওয়া হলো: "বই," "মেজাজ," "আকাশ," "খেলা," "বল," "মেঘ," "পথ," "কলম," "পাখি," "ফুল"। পদ প্রকরণ কাকে বলে :- ব্যাকরণের যে অংশ শব্দ ও শব্দের গঠন, শব্দের শ্রেণী বিভাগ, পদ, পদের পরিচয়, প্রত্যয়, বচন, শব্দরূপ কারক, সমাস, ক্রিয়া, ক্রিয়ার কাল, শব্দের ও পদের ব্যুৎপত্তি আলোচনা করে তাকে পদ প্রকরণ বলে। পদ কয় প্রকার ও কি কি :- পদের প্রাথমিক পরিচয় দিতে গিয়ে সাধারণত বলা হয় যে, পদ প্রধানত দুই প্রকার যথা-  1. নামপদ ও  2. ক্রিয়াপদ। নাম পদ কাকে বলে :- শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে যে পদ গঠিত হয় তাকে নাম পদ বলা হয়। নাম পদ কয় প্রকার :- নাম পদ চার প্রকার যথা - 1. বিশেষ্য 2. বিশেষণ 3. সর্বনাম 4. অব্যয়। নাম পদের কিছু বৈশিষ্ট্য :- নাম পদের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো: 1. নাম পদ সাধারণত এ

ভাববাদ কাকে বলে? ভাববাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী?

ভাববাদ ভাববাদ হল বস্তুবাদের একটি বিপরীত মতবাদ। যে জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ অনুসারে জ্ঞানের বিষয় তথা জ্ঞেয় বস্তুর কোনো স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ সত্তা নেই এবং তা জ্ঞাতার মন বা চেতনার ওপর নির্ভরশীল, সেই জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদকেই বলা হয় ভাববাদ (idealism)। ভাববাদ অনুসারে বাহ্যবস্তুরূপে যা কিছু অস্তিত্বশীল বলে আমরা দাবি করি, তার সমস্ত কিছুই জ্ঞাতার মন বা ধারণার ওপর নির্ভরশীল। জ্ঞাতার মন বা ধারণার বাইরে এদের আলাদা কোনো স্বাধীন অস্তিত্ব নেই। ডাববাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ভাববাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি হল- [1] জ্ঞাতার মন বা ধারণার ওপর জ্ঞেয় বস্তুর নির্ভরশীলতা : ভাববাদ অনুযায়ী জ্ঞানের বিষয় তথা জ্ঞেয় বস্তু কখনোই জ্ঞাতার মন বা ধারণা ছাড়া থাকতে পারে না। জ্ঞানের বিষয় জ্ঞাতার মনের ওপর নির্ভরশীল। জ্ঞাতার মন আছে বলেই বস্তুর অস্তিত্ব স্বীকৃত হয়। জ্ঞাতার মন বা ধারণাবহির্ভূতভাবে জ্ঞেয় বস্তু কখনোই অস্তিত্বশীল হতে পারে না। [2] জ্ঞেয় বস্তুর বস্তুগত সত্যতার অভাব :  ভাববাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জ্ঞেয় বস্তুর কোনো স্বাধীন ও স্বতন্ত্র বাস্তব সত্তা নেই। অর্থাৎ, জ্ঞেয় বস্তুর কোনোপ্রকার বস্তুগত সত্যতা নেই। তাই ভাব

অর্থনীতি কাকে বলে? সংজ্ঞা, ক্ষেত্রসমূহ, গুরুত্ব, ভবিষ্যৎ

ছবি
অর্থনীতি কাকে বলে ?  অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা যা পণ্য এবং সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হল সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। অর্থনীতির সংজ্ঞা অর্থনীতির সংজ্ঞা বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের দ্বারা বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়েছে। তবে, সাধারণভাবে অর্থনীতিকে নিম্নরূপে সংজ্ঞায়িত করা হয়: * **অর্থনীতি হল পণ্য এবং সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনার বিজ্ঞান।** * **অর্থনীতি হল সম্পদের সীমিত সম্পদ এবং অফুরন্ত চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য অর্জনের বিজ্ঞান।** * **অর্থনীতি হল একটি সমাজ বা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার অধ্যয়ন।** অর্থনীতির ক্ষেত্রসমূহ অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: * **ব্যষ্টিক অর্থনীতি:** ব্যক্তি, পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। * **মহাকাশ অর্থনীতি:** একটি দেশের অর্থনীতির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা করে। * **আন্তর্জাতিক অর্থনীতি:** বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। * **কৃষি অর্থনীতি:** কৃষ

বৃত্ত কাকে বলে

ছবি
**বৃত্ত কাকে বলে** বৃত্ত হলো একটি দ্বিমাত্রিক আকৃতি, যা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে সমান দূরত্বে অবস্থিত বিন্দুগুলির সমন্বয়ে গঠিত। এই নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে বৃত্তের কেন্দ্র বলা হয়। বৃত্তের পরিধি হলো বৃত্তের কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী বিন্দুগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি সরল রেখা। বৃত্তের ক্ষেত্রফল হলো বৃত্তের পরিধি দ্বারা কেন্দ্রের দূরত্বের বর্গের অর্ধেক। **বৃত্তের সংজ্ঞা** ইউক্লিডীয় জ্যামিতি অনুসারে, বৃত্ত হলো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে বিন্দু থেকে সমান দূরত্বে এবং একই সমতলে একবার ঘুরে আসা। অর্থাৎ, বৃত্তের পরিধিস্থ সকল বিন্দু কেন্দ্র থেকে একটি দূরত্বে অবস্থিত। **বৃত্তের কেন্দ্র** বৃত্তের কেন্দ্র হলো এমন একটি বিন্দু, যে বিন্দু থেকে বৃত্তের পরিধিস্থ সকল বিন্দুর দূরত্ব সমান। বৃত্তের কেন্দ্রটি একই সমতলে অবস্থিত। **বৃত্তের পরিধি** বৃত্তের পরিধি হলো বৃত্তের কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী বিন্দুগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি সরল রেখা। বৃত্তের পরিধিকে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বৃত্তের পরিধির সূত্র হলো: ``` C = 2πr ``` যেখানে, * C হলো বৃত্তের পরিধি * π হলো একটি গাণিতিক ধ্রুবক যার মান প্রায়