পোস্টগুলি

জীবনবিজ্ঞান 9 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিশ্ব খাদ্যসংকটের কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করো। খাদ্যসংকটের ফলাফলগুলি কী কী?

ছবি
বিশ্ব খাদ্যসংকট-সংক্রান্ত ঘটনা: গত শতক থেকে উল্লেখযোগ্য খাদ্যসংকটের ঘটনাগুলি হল- ① রাশিয়ার দুর্ভিক্ষ (1932-1933): দুই বছরব্যাপী এই দুর্ভিক্ষ হল মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। রাশিয়ার ইউক্রেন, ভলগা, কাজাকাস্থান অঞ্চল জুড়ে এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। উৎপন্ন খাদ্যের বিরাট অংশ ভবিষ্যতের জন্য মজুত করে রাখার উদ্দেশ্যে ও কিছু ভ্রান্ত সরকারি নীতির কারণে এই দুর্ভিক্ষ হয়। ② আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের খাদ্যসংকট: [i] খরা, জলসংকট, মূল্যবৃদ্ধি প্রভৃতি নানা কারণে ইথিওপিয়া, সুদান, কেনিয়া, সোমালিয়া প্রভৃতি দেশে দীর্ঘকালীন খাদ্য-সমস্যা দেখা দিয়েছে। [ii] মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেন, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশগুলিতে যুদ্ধ ও অন্যান্য কারণে খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কারণে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ৪০ মিলিয়ন লোক বর্তমানে (2017) খাদ্য সমস্যার সম্মুখীন। ③ ভারতের খাদ্যসংকট: 1943-45 সালে বাংলার দুর্ভিক্ষজনিত কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। এই খাদ্যসংকটের ফলে প্রায় 20 লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।  খাদ্যসংকটের ফলাফল ① মূল্যবৃদ্ধি: খাদ্যসংকটের সময়ে খাদ্যসংকট চাহিদা-জোগানের বড়ো পার্থক্য ঘটে, তাই স্বল্প খাদ্য কিন্তু বেশি মানুষ থাকার দরুন খাদ্যের

খাদ্যসংকটের কারণগুলি কী কী?

খাদ্যসংকটের কারণ ① জনসংখ্যা বৃদ্ধি: বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা অনুসারে খাদ্য উৎপাদন সম্ভব না হওয়ায় বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দিচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুসারে 2014-16 সালে প্রায় 795 মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সংকটের শিকার হন। ② জলবায়ু পরিবর্তন: পরিবেশদূষণ, বনধ্বংস প্রভৃতি কারণে পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির ফলে মরুভূমিকরণ ঘটেছে যার ফলস্বরূপ ফসলের উৎপাদনমাত্রা হ্রাস পেয়েছে, নতুন ক্ষতিকর পেস্টের আগমন ঘটেছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমছে। ③ পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি: প্রতি ব্যারেল পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে ফসল ও বীজের পরিবহণ মূল্য বাড়ে, ফলে খাদ্যের বাজার দর বাড়ে ও খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়। ④ মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি: চিন, ভারত প্রভৃতি দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাংস, দুধ প্রভৃতি পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ⑤ বায়োফুয়েলের চাহিদা বৃদ্ধি: জীবাশ্ম জ্বালানি যাতে নিঃশেষিত না হয় সেই জন্য জৈব জ্বালানি (ইথানল, বায়োডিজেল ইত্যাদি) উৎপাদনকারী ফসলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে, এর ফলে

খাদ্যের উৎস সম্বন্ধে আলোচনা করো।

খাদ্যের উৎস ① কৃষিজাত দ্রব্য: মানুষের প্রধান খাদ্যসমূহ, যেমন-দানাশস্য (ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি), ডাল-জাতীয় শস্য (মুগ, মটর, মশুর ইত্যাদি) ও পশুখাদ্যের জোগান কৃষিজাত দ্রব্য থেকেই হয়। এই সকল কৃষিজাত দ্রব্যের বৈজ্ঞানিক উপায়ে উন্নত উৎপাদনই হল কৃষিকাজ বা এগ্রিকালচার। ② উদ্যানজাত দ্রব্য: খাদ্যযোগ্য ফল, সবজি প্রভৃতি হল উদ্যানজাত দ্রব্যের উদাহরণ। উদ্যানবিদ্যা বা হর্টিকালচার নামক কৃষিকাজের শাখায় এদের উন্নত উৎপাদন সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয়। ③ পশু-খামারজাত দ্রব্য: দুধ (গোরু, মহিষ, ছাগল), ডিম (হাঁস, মুরগি), মাংস (ছাগল, মুরগি) প্রভৃতি পশু খামারজাত দ্রব্য খাদ্যের চাহিদাপূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পশুপালনবিদ্যায় এই ধরনের খাদ্যের বিজ্ঞানসম্মত উৎপাদন ও আহরণ সম্বন্ধে আলোচিত হয়। ④ মৎস্য-জাতীয় দ্রব্য: খাদ্যরূপে গ্রহণযোগ্য রুই, কাতলা, ভেটকি ইত্যাদি মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি জলজ প্রাণী খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মৎস্যবিজ্ঞান বা পিসিকালচার-এ এই খাদ্যগুলির উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়। ⑤ খাদ্যের বিকল্প উৎস: প্রচলিত খাদ্য ছাড়া বিকল্প যেসব জীবজ উপাদান স্বল্পমূল্যে পুষ্টির জোগান দেয় ও খাদ্য সমস্যার সম