① রাশিয়ার দুর্ভিক্ষ (1932-1933): দুই বছরব্যাপী এই দুর্ভিক্ষ হল মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। রাশিয়ার ইউক্রেন, ভলগা, কাজাকাস্থান অঞ্চল জুড়ে এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। উৎপন্ন খাদ্যের বিরাট অংশ ভবিষ্যতের জন্য মজুত করে রাখার উদ্দেশ্যে ও কিছু ভ্রান্ত সরকারি নীতির কারণে এই দুর্ভিক্ষ হয়।
② আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের খাদ্যসংকট: [i] খরা, জলসংকট, মূল্যবৃদ্ধি প্রভৃতি নানা কারণে ইথিওপিয়া, সুদান, কেনিয়া, সোমালিয়া প্রভৃতি দেশে দীর্ঘকালীন খাদ্য-সমস্যা দেখা দিয়েছে। [ii] মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেন, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশগুলিতে যুদ্ধ ও অন্যান্য কারণে খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কারণে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ৪০ মিলিয়ন লোক বর্তমানে (2017) খাদ্য সমস্যার সম্মুখীন।
③ ভারতের খাদ্যসংকট: 1943-45 সালে বাংলার দুর্ভিক্ষজনিত কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। এই খাদ্যসংকটের ফলে প্রায় 20 লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
খাদ্যসংকটের ফলাফল
① মূল্যবৃদ্ধি: খাদ্যসংকটের সময়ে
খাদ্যসংকট
চাহিদা-জোগানের বড়ো পার্থক্য ঘটে, তাই স্বল্প খাদ্য কিন্তু বেশি মানুষ থাকার দরুন খাদ্যের দাম বেড়ে যায়, অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে।
② দুর্ভিক্ষ: বিস্তীর্ণ এলাকায় খাদ্যসংকট দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে। দুর্ভিক্ষে অপুষ্টি, উপবাস, মহামারি রোগ ও মৃত্যু ঘটে থাকে।
③ সামাজিক অস্থিরতা: যেহেতু খাদ্য বেঁচে থাকার প্রাথমিক উপাদান, তাই সাধারণ মানুষ খাদ্যসংকটের সময়ে বাঁচার চেষ্টায় বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করে। ফলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
④ অনুন্নয়ন: পর্যাপ্ত খাদ্য না পেলে মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক বিকাশ রুদ্ধ হয় এবং উন্নয়ন বাধা পায়।
খাদ্যসংকটের ফলাফলগুলি কী |