পোস্টগুলি

ভূগোল8 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ওশিয়ানিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রায় 10,000 দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্রতম এই ওশিয়ানিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন- • ভৌগোলিক অবস্থান : পৃথিবীর প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং সমুদ্র মধ্যস্থ হওয়ায় ওশিয়ানিয়া জলপথ ও বিমানপথের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। • ক্ষেত্রমান: ওশিয়ানিয়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ (85 লক্ষ বর্গকিমি)। • ভূপ্রকৃতি: প্রাচীন গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের ভূপ্রকৃতি বৈচিত্র্যপূর্ণ (ক্ষয়প্রাপ্ত ও তরঙ্গায়িত শিল্ড মালভূমি, ভঙ্গিল পর্বত, সমভূমি, নিম্নভূমি, আগ্নেয় ও প্রবাল দ্বীপ প্রভৃতি)। পাপুয়া নিউগিনির মাউন্ট উইলহেলম্ (4,509 মিটার) ওশিয়ানিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। • নদনদী: এই মহাদেশের প্রধান নদী মারে এবং তার উপনদী ডার্লিং। নদী অববাহিকার উর্বর পলল মাটি কৃষিকাজে এবং নদীর জল পশুপালন ও শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হয়। • জলবায়ু : ওশিয়ানিয়ার উত্তরে ক্রান্তীয়, মধ্যভাগে নিরক্ষীয় এবং দক্ষিণে নাতিশীতোয় জলবায়ু বিরাজ করে। • স্বাভাবিক উদ্ভিদ: ওশিয়ানিয়ায় বনভূমির পরিমাণ কম। দক্ষিণাংশে নাতিশীতোয় তৃণভূমি ডাউন্স অবস্থিত। এখানকার বনভূমি (ইউক্যালিপটাস, জারা, কারি পাইন,

ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যেকার সুসম্পর্ক

ভারতের উত্তরে আছে চিন, নেপাল ও ভুটান, পূর্বে আছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার, দক্ষিণে আছে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এবং উত্তর-পশ্চিমে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এসব প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক লক্ষ করা যায়। কারণ - • ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধা : একে অপরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে পারস্পরিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে। ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন দ্রব্য আদানপ্রদান (বাণিজ্য) হয়ে থাকে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এইসব দেশগুলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলি আরও উন্নত বাণিজ্যিক স্বার্থে অতি সম্প্রতি 'SAPTA' (South Asian Preferential Trade Agreement) নামক একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। • জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার : দেশগুলি সীমারেখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলেও নদীর প্রবাহকে সীমারেখা দিয়ে আটকানো যায় না। তাই নদী এক দেশ থেকে আর এক দেশে প্রবাহিত হয়। এই জলসম্পদ ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলি পরস্পর মিলে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে থাকে। এর ফলেই তৈরি হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক। • শিল্পের উন্নতি : প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে কৃষিজ, খনিজ, বনজ সম্প