ওশিয়ানিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্ব আলোচনা করো।
প্রায় 10,000 দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্রতম এই ওশিয়ানিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন- • ভৌগোলিক অবস্থান : পৃথিবীর প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং সমুদ্র মধ্যস্থ হওয়ায় ওশিয়ানিয়া জলপথ ও বিমানপথের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। • ক্ষেত্রমান: ওশিয়ানিয়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ (85 লক্ষ বর্গকিমি)। • ভূপ্রকৃতি: প্রাচীন গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের ভূপ্রকৃতি বৈচিত্র্যপূর্ণ (ক্ষয়প্রাপ্ত ও তরঙ্গায়িত শিল্ড মালভূমি, ভঙ্গিল পর্বত, সমভূমি, নিম্নভূমি, আগ্নেয় ও প্রবাল দ্বীপ প্রভৃতি)। পাপুয়া নিউগিনির মাউন্ট উইলহেলম্ (4,509 মিটার) ওশিয়ানিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। • নদনদী: এই মহাদেশের প্রধান নদী মারে এবং তার উপনদী ডার্লিং। নদী অববাহিকার উর্বর পলল মাটি কৃষিকাজে এবং নদীর জল পশুপালন ও শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হয়। • জলবায়ু : ওশিয়ানিয়ার উত্তরে ক্রান্তীয়, মধ্যভাগে নিরক্ষীয় এবং দক্ষিণে নাতিশীতোয় জলবায়ু বিরাজ করে। • স্বাভাবিক উদ্ভিদ: ওশিয়ানিয়ায় বনভূমির পরিমাণ কম। দক্ষিণাংশে নাতিশীতোয় তৃণভূমি ডাউন্স অবস্থিত। এখানকার বনভূমি (ইউক্যালিপটাস, জারা, কারি পাইন,