728×90 ads

ভারতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো।

ভারতে সর্বপ্রথম বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯১১
খ্রিস্টাব্দে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা বিশেষ উন্নত ছিল না। পরবর্তীকালে এর প্রসারলাভ ঘটে। আকাশপথ পরিবহণের গুরুত্ব বিচার করে ভারত সরকার আকাশ পথ
পরিবহণ ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন। ভারতে মোট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সংখ্যা ১১টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দরের সংখ্যা ১১২টি। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলি হল- (১) কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর। (২) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর। (৩) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর। (৪) চেন্নাইয়ের আন্না বিমানবন্দর। (৫) বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দর। (৬) অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ বিমানবন্দর। 

আকাশপথে পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Airways) :

(১) গতিবেগ: এটি অতি দ্রুত গতিসম্পন্ন। বিমান পথে অতি দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করা হয়।
(২) ব্যয়: বিমানবন্দর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ তথা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হলেও আকাশপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যয় নেই।
(৩) উপযোগিতা: দুর্গম স্থানে যাতায়াতের জন্যে বিমানপথ বিশেষ উপযোগী বিমানের সাহায্যে পাহাড়, পর্বত, নদী-নালা, সাগর, মরুভূমির সহজেই পার হওয়া যায়। শৌখিন, ভঙ্গুর, পচনশীল দ্রব্য, চিঠি ও ঔষধপত্র দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোনো যায়। (৪) জরুরি পরিস্থিতি: দুর্গম স্থানে যেখানে কোনোভাবেই যাতায়াত করা যায় না, সেখানে হালকা বিমান বা হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য চালাতে অতিদ্রুত পৌঁছে যায়।

(৫) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বিমানপথ দ্রুত গতি সম্পন্ন হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসারলাভ করেছে ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৬) আরামপ্রদ ভ্রমণ : বিমানপথে ভ্রমণ খুব আরামদায়ক। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় তৈরি বিমান বা হেলিকপ্টার যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

(৭) কর্মসংস্থান : আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

(৮) কৃষিক্ষেত্রে ও শিল্পে ব্যবহার: উন্নত কৃষিব্যবস্থায় বিস্তীর্ণ কৃষিজোতে সার, কীটনাশক, বীজ ছড়াতে, এ ছাড়া শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাতকরণ ও শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনয়নে বিমানের ব্যবহার বাড়ছে।
(৯) আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রদূত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments