Ad Code

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে যা জান লেখো।

এক কথায় যোগাযোগ বলতে বোঝায় মানুষের
কথাবার্তার পারস্পরিক আদান-প্রদান। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবামূলক কাজ, ইংরেজি শব্দ 'Communication'-এর উৎপত্তি হয় লাতিন শব্দ 'Communicare' যার অর্থ অংশীদার হওয়া বা করা। এবং এই ধরনের একটি সংগঠিত আদানপ্রদান-এর ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হল তিনটি: ইনটারনেট, ই-মেল ও সেল ফোন।

কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা: কম্পিউটার হল এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতিসাধন হয়েছে। ইলেকট্রনিক মেল বা ই-মেল (Email) এবং ইনটারনেট ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে।

ইনটারনেট ও ই-মেল: সারাবিশ্বে কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সঙ্গে একসূত্রে যুক্ত করার নামই ইনটারনেট বা অন্তর্জাল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে Computer Network সৃষ্টি হয়, তারই সমন্বয়কে ইনটারনেট ওয়ার্ক বলে। ইনটারনেটে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় মোডেমযুক্ত কম্পিউটার, উইন্ডোজ সফটওয়ার এবং ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন। ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে ই-মেলের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো স্থানে বার্তা, চিঠিপত্র, তথ্য ইত্যাদি প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে। ইনটারনেট ব্যবস্থায় ই-মেল ছাড়াও ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা >আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান বিভিন্ন 
ইত্যাদি । এই ব্যবস্থার দ্বারা শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক জগৎ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ আজও ঘরে বসেই রেল, বিমান প্রভৃতির আসন সংরক্ষণ করতে পারে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ই-মেল ব্যবস্থা চালু হয়। 

মোবাইল বা সেলুলার ফোন: এটি একটি তারবিহীন
যোগাযোগ ব্যবস্থা। মোবাইল বা সেলুলার ফোন আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও যেন এগিয়ে গেল। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইলের সাহায্যে পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়। প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতির ফলে সেলুলার ফোনে নিত্যনতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। ফোন-SMS (Short Messaging service), MMS (Multimedia Messaging Service); ইনটারনেট যোগাযোগ, তথ্য, ছবির আদানপ্রদান, radio, camera-র সুবিধা, আবার SPS -এর সুবিধা থাকায় তথ্যের আদানপ্রদান ছাড়াও ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান, উচ্চতা জানা যায়। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ ছাড়া বর্তমানে নানাপ্রকার APP-এর সুবিধা আছে।