আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য লেখো

নমস্কার আমার blog পোস্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আমার নাম Deep Barman আজকের এই blog পোস্টে আমরা জানব আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য নিয়ে । 

আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য লেখো ৷ 

আধুনিক ইতিহাসচর্চার ভূমিকা: 

আধুনিক ইতিহাসচর্চা হল ঐ ইতিহাসচর্চা যা সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সাংবিধানিক কাজকর্মের ইতিহাসের সাথে যুক্ত হতে শুরু করে এবং নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয়। এটি প্রচলিত ইতিহাসচর্চার মূল বিষয় হিসেবে প্রথম বেছে নেয়।

আধুনিক ইতিহাসচর্চার বিশেষ বৈশিষ্ট্য

আধুনিক ইতিহাসচর্চায় অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। এই ধরনের ইতিহাসচর্চায় যুক্ত হতে শুরু করে সমাজ ও অর্থনীতির অন্য বিষয়গুলি এবং নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয়। এটি বিশেষভাবে আধুনিক ইতিহাসচর্চার একটি গোড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আধুনিক ইতিহাসচর্চার ধারাবাহিক চিত্রণ

আধুনিক ইতিহাসচর্চা : এই চিত্রণটি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে কাজ করে, যেমন- যুক্তিবাদী, আপেক্ষিকতাবাদী, দৃষ্টবাদী, মার্কসবাদী, প্রত্যক্ষবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যানাল গোষ্ঠীর মতবাদ, জাতীয়তাবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, নিম্নবর্গীয় মতবাদ এবং সামগ্রিক সমাজ বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

নীচুতলার ইতিহাস : এই চিত্রণটি বর্ণিত হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কসবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী ইউরোপের ঐতিহাসিকগণ (ক্রিস্টোফার হিল, এরিক হবসবম, প্যাট্রিক জয়েস, এডওয়ার্ড থম্পসন প্রমুখ।) সমাজের নীচুতলা থেকে ইতিহাস রচনায় সচেষ্ট হন।

নতুন সামাজিক ইতিহাস : এই চিত্রণটি বর্ণিত হচ্ছে ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে সমাজের

 বিভিন্ন শ্রেণি ও তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, জাতি-বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ, হিংসা ও সম্প্রীতিসহ সমগ্র সমাজের ইতিহাস রচনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় যা নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত।

গুরুত্ব: আধুনিক ইতিহাসচর্চায় অনেক নতুন সংযোজন হয়েছে। এটি সমস্ত কিছুর মাধ্যমেই সমাজ প্রতিফলিত হয়। তবে নতুন ইতিহাসকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তুলতে হলে, সংগৃহীত তথ্যগুলিকে মিউজিয়াম, লেখ্যাগার, গ্রন্থাগারে রক্ষিত মৌলিক আকরের সঙ্গে হাতেকলমে যাচাই করে নিতে হবে। 

আপনার যদি এই প্রশ্ন আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য লেখো এর উত্তর টি ভালো লাগে তাহলে নিচে একটি মন্তব্য পোস্ট করুন ৷