728×90 ads

যুক্তির আকার

যুক্তির আকার (Argument Form)


প্রত্যেকটি যুক্তির দুটি রূপ লক্ষ করা যায়। যুক্তির এই দুটি রূপের একটি হল তার আকারগত দিক এবং অপরটি হল তার উপাদানগত দিক। যুক্তির উপাদান হল বচন (Proposition)। একাধিক বচনের সহযোগে কোনো একটি যুক্তি Argument) গঠিত হয়। যে-কোনো যুক্তির অন্তর্গত ওই সমস্ত বচনগুলিই হল যুক্তির উপাদান। আবার যুক্তির উপাদান বলতে যুক্তির বিষয়বস্তুকেও বোঝানো হয়ে থাকে। এই উপাদান দিয়ে গঠিত হয় যুক্তি। এই যুক্তিকে যখন একটি বিশেষ আকারে উপস্থিত করা হয়, তখন তাকে বলা হয় যুক্তির আকার (Argument Form)। 

যুক্তির বিভিন্ন আকার (Different Argument Forms)


যুক্তির আকার বলতে যে কাঠামোয় কোনো একটি যুক্তি গঠিত বা প্রকাশিত হয়, সেই কাঠামোকেই বোঝায়। অর্থাৎ, যে কৌশলে বা নিয়মে একাধিক বচন সংযুক্ত হয়ে একটি যুক্তি গঠন করে, সেই কৌশল বা নিয়মকেই বলা হয় যুক্তির আকার। কোনো একটি নির্দিষ্ট যুক্তির উপাদান পরিবর্তিত হলেও, তার আকার (Form) কিন্তু অপরিবর্তিত থাকে। একটি অবরোহ যুক্তি কেবলমাত্র সরল নিরপেক্ষ বচন নিয়ে গঠিত হতে পারে, আবার জটিল বচন সহযোগেও গঠিত হতে পারে।

সরল অবরোহ যুক্তির আকার


যদি একটি অবরোহ যুক্তিতে কেবলমাত্র সরল নিরপেক্ষ বচন থাকে, কোনো জটিল বচন (একাধিক সরল বচনের সংজ্ঞাত-রূপ) না থাকে, তাহলে যুক্তিটির অন্তর্গত প্রত্যেকটি সরল নিরপেক্ষ বচনের আকার পেলেই, যুক্তিটির আকার পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বচনগুলিকে বিভিন্ন পদ (Term)-এ বিভক্ত করে প্রতিটি পদকে M.P.S ইত্যাদি বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয় এবং পদগুলির পরিবর্তে ওই বর্ণগুলি ব্যবহার করা হয়। তবে একটি যুক্তিতে একই পদ একাধিকবার ব্যবহৃত হতে পারে। একটি যুক্তিতে কোনো একটি পদের পরিবর্তে যে বর্ণকে ব্যবহার করা হবে, পরে সবক্ষেত্রে ওই পদের পরিবর্তে ওই বর্ণটিকেই ব্যবহার করতে হবে।

জটিল অবরোহ যুক্তির আকার

যদি একটি অবরোহ যুক্তিতে অন্ততঃপক্ষে একটি জটিল বচন থাকে, তাহলে এরূপ যুক্তিটির আকার লাভের জন্য সরল বচনগুলিকে X, Y এবং Z ইত্যাদি বর্ণ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ ওই বচনগুলির পরিবর্তে X, Y, Z ইত্যাদি বর্ণকে ব্যবহার করতে হবে। 

যুক্তি থেকে যুক্তির আকার এবং যুক্তির আকার থেকে যুক্তি (Argument Form from Argument and Argument from Argument Form)

যে-কোনো অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে আমরা যেমন একটি যুক্তি (Argument) থেকে তার আকার (Argument Form)-কে পেয়ে থাকি, তেমনি তার আকার থেকেও যুক্তিটিকে পেতে পারি। যুক্তির আকার থেকে যুক্তিকে পেতে গেলে আমাদের প্রথমেই দেখতে হবে, যুক্তির আকারটিতে ঠিক কী ধরনের বচনের আকার ব্যবহৃত হয়েছে। যদি সরল বচনের আকার থাকে, তাহলে বচন আকারের অন্তঃস্থিত প্রতিটি বর্ণের পরিবর্তে তাদের মূল পদগুলিকে বসাতে হবে। কিন্তু যুক্তিটিতে জটিল বচনের আকার থাকলে ওই জটিল বচনের আকারের প্রতিটি বর্ণের পরিবর্তে তাদের নিজ নিজ সরল নিরপেক্ষ বচন বসাতে হবে।

Post a Comment

0 Comments