728×90 ads

জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

জাতীয় উদ্যান (National Park): প্রাকৃতিক-সৌন্দর্যময় যেসব স্থানে সমস্তরকম গাছপালা ও বন্য জীবজন্তুরা নিজস্ব পরিবেশে জাতীয় সংবিধান প্রণীত আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত হয়, তাদের জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্ক বলে।

বৈশিষ্ট্য: (i) এটি ভারত সরকারের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (ii) শিকার সম্পূর্ণ নিষেধ, আগ্নেয়াস্ত্রসহ শিকারির প্রবেশ নিষেধ, তবে পর্যটক ভিতরে যেতে পারে। (iii) প্রাকৃতিক-ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বস্তু, বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ স্থায়ীভাবে আইন মারফত করা হয়ে থাকে। (iv) সমগ্র বাস্তুতন্ত্র রক্ষিত হয়ে থাকে। (v) এই বনভূমিতে প্রাণীহত্যা, গাছকাটা, মাছধরা, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। (vi) এটি সবচেয়ে বড়ো পরিসরের উদ্যান।

উদাহরণ: পশ্চিমবঙ্গের গোরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, উত্তরাখণ্ডের করবেট, মধ্যপ্রদেশের কানহা এবং

শিবপুরি। 

অভয়ারণ্য (Sanctuary): যে সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো বন্য প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তাকে অভয়ারণ্য বলে। অভয়ারণ্য বনাঞ্চল স্থাপনের উদ্দেশ্য হল- (i) চরম বিপন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ গুলিকে শিকারী এবং মানুষের হাত থেকে রক্ষা করা। (ii) প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপন্ন ও সংকটাপন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পদগুলিকে সংরক্ষণ করা।

■ বৈশিষ্ট্য: (i) বন্যপ্রাণী, যারা অবলুপ্তির পথে, তারা এখানে নির্ভয়ে ঘোরাফেরা করতে পারে স্বাধীনভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে ও প্রজননে লিপ্ত হতে পারে। (ii) রাজ্য সরকারের নির্দেশে শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (iii) এর আয়তন জাতীয় উদ্যান অপেক্ষা ছোটো। (iv) বনদপ্তরের অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

■ উদাহরণ: পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরি, কর্ণাটকের বন্দীপুর।

Post a Comment

0 Comments